বাংলার গর্ব মমতা এবার নজরকাড়া মিষ্টিতে , ভীড় শ্রীরামপুরে মিষ্টির দোকানে

18th March 2020 হুগলী
বাংলার গর্ব মমতা এবার নজরকাড়া মিষ্টিতে , ভীড় শ্রীরামপুরে মিষ্টির দোকানে


এবার মিষ্টিতেও বাংলার গর্ব মমতা। গত ২ রা মার্চ বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অানুষ্ঠানিক ভাবে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসুচি প্রকাশ করেন।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তৃনমুল কর্মীদের জন্য এই কর্মসুচি বেঁধে দেওয়া হয়।এবার সেই কর্মসুচির সঙ্গে যোগ হলো
মিষ্টির তৈরী বাংলায় গর্ব মমতা।শ্রীরামপুর বটতলার একটি মিষ্টির দোকানে বাংলার গর্ব মমতা মিষ্টি তৈরী
করা হয়েছে।শ্রীরামপুরের তৃনমুল কর্মীরা এই মিষ্টির অর্ডার দেয়।একবারে খীরের তৈরী এই মিষ্টিতে মজেছে জেলার তৃনমুল কর্মীরা। শুধু শ্রীরামপুরের নয় ব্যান্ডেল, বৈদ্যবাটি, উত্তরপাড়া, কোন্নগর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ডার অনুযায়ী এই মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছে।দোকানের মালিক সুশান্ত কর্মকার জাানান বছরের বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয় নিয়ে মিষ্টি তৈরী করে থাকি।এবারেও কিছু তৃনমুল নেতৃত্ব অামাকে এই বাংলার গর্ব মমতা নামে মিষ্টি তৈরীর দায়িত্ব দেয়, তাই এই মিষ্টি তৈরী করলাম, এতে ভালোই সারা পাচ্ছি। মিষ্টি নিতে অাসছে যারা তারাও খুব খুশি।এদিকে দোকানে এই বিশেষ মিষ্টি নিতে অাসা এক তৃনমুল কর্মী জানান খুব কাজে লাগছে এই মিষ্টি,  একটু অভিনব চিন্তা, যখনই কোনো সম্মলনে হচ্ছে এই মিষ্টিটাকে সামনে রাখছি।
দারুন প্রশংসা পাচ্ছি। এই মিষ্টি নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি, সাড়া পাচ্ছি ভালো।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।